অ্যালোভেরা

বৈজ্ঞানিক নাম Aloe vera। অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী একটি ভেষজ ঔষধি গাছ। ঘৃতকুমারী বহুজীবী ভেষজ উদ্ভিদ এবং দেখতে অনেকটা আনারস গাছের মতো। এর পাতাগুলো পুরু, দুধারে করাতের মতো কাঁটা এবং ভিতরে লালার মতো পিচ্ছিল শাস থাকে। ঘৃতকুমারী বা অ্যালোভেরা বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা ও ত্বকের সমস্যায় বেশ কার্যকরী ওষুধ। এছাড়াও চুলের সমস্যাতেও অ্যালোভেরা খুবই কার্যকরী সমাধান। আসুন জেনে নেয়া যাক অ্যালোভেরার কী কী স্বাস্থ্য-উপকারিতা রয়েছে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

নিয়মিত অ্যালোভেরার রস খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। অ্যালোভেরা শ্বেত রক্ত কণিকা বাড়িয়ে দেয়, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। এছাড়াও অ্যালোভেরাতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আছে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা থেকে শরীরকে মুক্ত করে। অ্যালোভেরা বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন সমস্যাও কমিয়ে দেয়।

ত্বক ভালো রাখে

বিভিন্ন প্রসাধনীর মূল উপাদান হলো অ্যালোভেরা। ত্বকের জন্য খুবই উপকারী এই ভেষজ উদ্ভিদটি। অ্যালোভেরাতে আছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়া উপাদান। তাই কোথাও কেটে গেলে বা পুড়ে গেলে অ্যালোভেরার রস লাগালে বেশ আরাম পাওয়া যায় এবং দ্রুত ভালো হয়ে যায়। এছাড়াও অ্যালোভেরা ব্রন ও ব্রনের দাগ দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।

হজমে সহায়তা করে

অনেকেরই হজমের সমস্যা থাকে। যা কিছুই খাক না কেন সবকিছুতেই হজমে সমস্যা হয়। হজম প্রক্রিয়া সচল রাখতে অ্যালোভেরা বেশ কার্যকরী একটি ভেষজ উপাদান। অ্যালোভেরার একটি মজার বৈশিষ্ট্য হলো এটা ডায়রিয়া এবং কোষ্ঠ্যকাঠিন্য দুটির জন্যই উপকারী। এছাড়াও হজমের সমস্যার জন্য দায়ী ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতেও অ্যালোভেরা ভূমিকা রাখে।

শরীরকে বিষ মুক্ত করে

অ্যালোভেরা হলো জিলেটিনাস জাতীয় উদ্ভিজ খাবার। জিলেটিনাস জাতীয় উদ্ভিজ খাবারগুলো শরীরের বিষাক্ত উপাদানগুলো শুষে নেয় এবং শরীর থেকে এগুলোকে বের করে দিতে সহায়তা করে। তাই শরীরকে ক্ষতিকারক বিভিন্ন উপাদান মুক্ত রাখতে নিয়মিত অ্যালোভেরার জুস খাওয়া উপকারী।

হূদপিণ্ড ভালো রাখে

কিছু কিছু গবেষণায় জানা গিয়েছে যে, অ্যালোভেরার রস খেলে তা রক্তের সঙ্গে মিশে রক্তে অক্সিজেনের প্রবাহ বাড়িয়ে দেয়। ২০০০ সালে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত হয় যে, অ্যালোভেরা রক্তের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়। ফলে হূদপিণ্ডের স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকি কমে।